সিগভে বেক্কি
নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট, টেলিনর গ্রুপ এবং চেয়ারপার্সন, গ্রামীণফোন লি: বোর্ড অব ডিরেক্টরস।
* বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন কি?
** আজ বাংলাদেশের ১১০ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল সুবিধা পাচ্ছে। ফেসবুক ব্যবহার এবং ইন্টারনেটের ট্র্যাফিক বৃদ্ধির দিক থেকে ঢাকা দ্রুত ক্রমবর্ধমান শহরগুলোর একটি। গত বছর গ্রামীনফোনের ডাটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং এটা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে। মোবাইল ব্রডব্যান্ড-এর জন্য আমারা এখন প্রস্তুত। ৮ সেপ্টেম্বর মোবাইলের এই যুগে থ্রিজি নিলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যে থ্রিজি ইন্টারনেট যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
* পূর্ণাঙ্গ থ্রিজি চালু হলে বাংলাদেশের দৃশ্যপট কেমন হবে?
** এমন একটি বাংলাদেশের কল্পনা করুন, যেখানে একটি উঠতি বয়সী ছেলে তার স্কুলের দেয়া কাজের জন্য সাম্প্রতিকতম তথ্য পেতে উইকিপিডিয়া অথবা সিএনএন স্ট্রিম সার্ফ করছে। একটি বাংলাদেশ যেখানে গ্রামের একটি ছেলে হ্যারি পটারের উপন্যাস প্রকাশ পাবার সাথে সাথে পড়তে পারছে বা ফেসবুকের মাধ্যমে সাইবেরিয়া, ঘানা অথবা মেক্সিকোতে বন্ধু খুঁজে পাচ্ছে। এমন একটি বাংলাদেশের কল্পনা করুন, যেখানে বালিয়াডাঙ্গির খুব অসুস্থ কোন রোগী ঢাকার কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ তাৎক্ষণিক পেতে পারছে। অথবা যশোরের কোন কৃষক কৃষি বিষয়ক কোন তথ্য পেতে বা তার লাভ, ক্ষতি, বীমার হিসাব তাৎক্ষণিক বিশ্বাসযোগ্য ব্যাংকিং ব্যবস্থায় দেখতে পারছে। এসবের কিছু ইতিমধ্যে সত্যি হয়েছে এবং আরও কিছু খুব শিগ্রই হবে। এসব কিছু এবং আরও অনেক কিছুই ডিজিটাল বাংলাদেশে সম্ভব হবে।
* থ্রিজি চালু হলে কি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বৃদ্ধি পাবে?
** বাংলাদেশে সকল মোবাইল অপারেটর থ্রিজি সেবা দেবার সুযোগ পেয়েছে। এতে গ্রাহকরা সুস্থ প্রতিযোগিতা দেখতে পাবেন এবং সহনশীল দামে উন্নততর ইন্টারনেট সংযোগ পাবেন। কম মূল্যে ভালো সেবা পেলে নিশ্চয় এখানে আরও অনেক মানুষ এই যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত হবেন।
* গ্রামীণফোনের থ্রিজি সেবার মান কেমন হবে?
** বিশ্বের থ্রিজি বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনরের অনেক দেশে থ্রিজি সেবা পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। গ্রামীণফোনের বেশকিছু কর্মকর্তা নরওয়ে, সুইডেনে গিয়ে থ্রিজি বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা নিয়ে এসেছেন। তারা এখন থ্রিজি সেবা দিতে কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে আমাদের থ্রিজি সেবা বিশ্ব মানের হবে।
* থ্রিজি চালু হলে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হবে?
** গ্রামীণফোন আধুনিক টেলিকম নেটওয়ার্কে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। উচ্চ গতির থ্রিজি ডাটা সার্ভিস দিতে আমরা এখন প্রস্তুত। ব্যক্তি বিশেষ এবং গ্রামীণ সমাজ এই সুবিধা নিয়ে যেমন উপকৃত হবে তেমনি ছোট বড় ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোও উপকৃত হবে। উন্নততর যোগাযোগ, আরও শক্তিশালী, উদ্ভাবনী আইসিটি ব্যবস্থা আমাদের গতিশীলতা এবং উৎপাদনের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে একবার কল্পনা করুন।
* আপনি বলছেন এখানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও সংযুক্ত হবে?
** নিশ্চয়। কারণ মানুষ, ব্যবসা এবং সমাজের উপর মোবাইল যোগাযোগের ইতিবাচক ভূমিকা আছে। বোস্টন কন্সাল্টিং গ্রুপের একটি গবেষণা থেকে দেখা যায়, ১০% মোবাইল অনুপ্রবেশ বৃদ্ধিতে দেশের জিডিপি ১.২% বৃদ্ধি পায়। ইন্টারনেটের ব্যবহার এই হারকে আরও বাড়িয়ে দেয়। জিডিপিতে এর প্রভাব ৩ থেকে ৬%।
* আগামী দিনে আপনাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে যদি কিছু বলেন?
** ইন্টারনেটের সেরা কনটেন্ট প্রভাইডার এবং সার্চ ইঞ্জিনের সাথে আমাদের সম্পর্ক মোবাইল ইন্টারনেটের সব সুবিধা বাংলাদেশের সকল মানুষকে দিতে সহায়তা করবে। গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপ বাংলাদেশের সবার জন্য ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করবে।
PSC Routine | JSC Routine | SSC Routine | HSC Routine |
ReplyDeleteEbtedayee |
Dakhil Routine |