Sunday, September 29, 2013

থ্রিজি চালু করলো গ্রামীণফোন

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ রোববার সকালে আনুষ্ঠানিক থ্রিজি সেবা চালু করলো দেশের সব থেকে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন। বারিধারায় গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে থ্রিজি সেবার উদ্বোধন করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। উদ্বোধনের পর সাহারা খাতুন গ্রামীণফোনের চিফ টেকনোলজি অফিসার তানভির মোহাম্মদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলেন।

প্রথম পর্যায়ে গ্রামীণফোনের নিজস্ব কার্যালয়, রাজধানীর বারিধারা ও গুলশান এলাকায় এ সেবা পাওয়া যাবে। তারসঙ্গে যুক্ত হবে চট্টগ্রামের একাধিক এলাকা।
অক্টোবরের শুরুতে চট্টগ্রাম ও ঢাকার আরও কিছু এলাকায় থ্রিজি সেবা চালু হবে। নভেম্বরে ঢাকা জেলার অন্যান্য অংশ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে তা সম্প্রসারিত হবে।
ডিসেম্বরে সাত বিভাগীয় শহরে গ্রামীণফোনের থ্রিজি সেবা চালু করা সম্ভব হবে। আর ২০১৪ সালের মার্চের মধ্যে সব জেলার গ্রাহকরা থ্রিজি সেবা পাবে।
3G
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ বলেন, গ্রামীণফোনের কর্মী ও বন্ধুরা যারা জিপি হাউসে রয়েছেন তারা এবং এর আশপাশের বাসিন্দারা থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আসবেন। আজ থ্রিজি সেবা চালুর মধ্য দিয়ে গ্রামীণফোন পরবর্তী যাত্রা শুরু করলো।
এ সময় থ্রিজি সেবা গ্রহণে গ্রাহকদের যাতে হয়রানি না হয় সেজন্য তারা সিমলেস ট্রান্সফার চালু করবেন বলে জানান বিবেক সুদ।
থ্রিজি সেবা গ্রামীণফোন এবং বাংলাদেশের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলো। একই সঙ্গে দেশ প্রবেশ করলো তথ্যকেন্দ্রিক যুগে। বিশ্বের থ্রিজি বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
গ্রামীণফোনের মূল কোম্পানি টেলিনরের অনেক দেশে থ্রিজি সেবা পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। গ্রামীণফোনের বেশকিছু কর্মকর্তা নরওয়ে, সুইডেনে গিয়ে থ্রিজি বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা নিয়ে এসেছেন। তারা এখন থ্রিজি সেবা দিতে কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- টেলিনরের গ্রুপ সিইও জন ফ্রেডরিক বাকসাস, টেলিযোগাযোগ সচিব আবু বকর সিদ্দিক ও বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ।
সাহারা খাতুন গ্রামের মানুষের কাজে লাগে এমন সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করতে গ্রামীণফোনের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে তরুণরা এগিয়ে আসবে।
টেলিনর গ্রুপের সিইও জন ফ্রেডরিক বাকসাস বলেন, গ্রামীণফোনের সঙ্গে টেলিনরের ১৬ বছরের সম্পর্ক, উন্নয়নের দীর্ঘদিনের সঙ্গী। থ্রিজি সেবা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, থ্রিজি নিয়ে এখানে প্রত্যাশা অনেক বেশি। বাংলাদেশকে সামনে গিয়ে নেওয়াই গ্রামীণফোনের মিশন।
প্রসঙ্গত, গ্রামীণফোন রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত নিলামে ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) লাভ করে।
এই তরঙ্গ নিলামে অংশ নেওয়া অন্য অপারেটরদের দ্বিগুণ। গ্রামীণফোন ছাড়া রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক থ্রিজি সেবা চালুর লাইসেন্স পেয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মোবাইল অপারেটর টেলিটক এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে থ্রিজি সেবা চালু করেছে। আর গতকাল শনিবার এই সেবা চালু করে রবি আজিয়াটা।

(প্রিয় টেক)

No comments:

Post a Comment